বাংলাদেশ | শুক্রবার, ডিসেম্বর ৬, ২০২৪ | ২১ অগ্রহায়ণ,১৪৩১

বানিজ্য

04-11-2017 10:53:30 AM

কী হবে সোনালী ব্যাংক ইউকে লিমিটেডের?

newsImg

ঢাকা:অনিয়ম, লুটপাট আর অব্যবস্থাপনার কারণে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে সোনালী ব্যাংক ইউকে লিমিটেডের কার্যক্রম। ব্যাংকটি এখন দেশের জন্য এক প্রকার বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ কারণে ব্যাংকটি বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকও সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে না পারলেও অন্তত একজন বিদেশি প্রকল্প ব্যবস্থাপক যেন নিয়োগ দেওয়া হয়।

দেশীয় গ্রাহকের ঋণপত্রের নিশ্চয়তা ও প্রবাসীদের সেবা দিতে ২০০১ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে সোনালী ব্যাংক ইউকে লিমিটেড। এতে সোনালী ব্যাংকের শেয়ার ৪৯ শতাংশ ও সরকারের ৫১ শতাংশ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক সোনালী ব্যাংক ইউকে লিমিটেড পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব অনিয়ম। অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থতাসহ চারশ’ ৫ ধরনের অনিয়ম উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্র্যাডফোর্ড শাখা থেকে চিটাগাং সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আর হোসেন ব্যাংকের রেসট্রিকটেড এলাকায় প্রবেশ করেন ও গোপন নথি ধ্বংস করেন। যার সঙ্গে কর্মকর্তাদের যোগসাজশ ছিল। 

সোনালী ব্যাংক ইউকে’তে টেলার পদে দু’জনকে নিয়োগ দেওয়া হলেও তারা কাজ করেন ফরেন ট্রেড ডিভিশনে। কিন্তু তাদের নিয়োগের কোনো কাগজপত্র নেই। লোকবলের প্রশিক্ষণের নামে দেখানো হয়েছে যাচ্ছেতাই ব্যয়। কেবল ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পেছনেই ব্যয় হয়েছে প্রশিক্ষণের ৫২ শতাংশ। 

আর ডেপুটি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নামে পদ সৃষ্টি করা হয়েছে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ছাড়াই।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনে বলা হয়েছে, বার্মিংহাম শাখা থেকে বাংলাদেশের ব্যাংক এশিয়ার শান্তিনগর শাখা থেকে ২৪ হাজার ৩৯৪ ডলার পাঠানো হয় আউটসোর্স এক্সপোর্ট লিমিটেডের পক্ষ থেকে। কাগজপত্রের কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই সেখান থেকে   অ্যাকাউন্টধারী সুনুকা বেগমের স্বাক্ষর জাল করে তোলা হয়েছে ৫ হাজার ডলার।

খবরটি সংগ্রহ করেনঃ- Shakila Sultana lima
এই খবরটি মোট ( 2275 ) বার পড়া হয়েছে।
add

Share This With Your Friends