বাংলাদেশ | শুক্রবার, ডিসেম্বর ৬, ২০২৪ | ২১ অগ্রহায়ণ,১৪৩১

রূপচর্চা

12-06-2016 12:34:57 AM

সৌন্দর্য চর্চা : মৌলিক সত্য

newsImg

যুগে যুগে মানুষ নিজেকে সুন্দর রাখার, সৌন্দর্যকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছে। এ জন্যে উদ্ভাবন করেছে নানা কৌশল। এ জন্যে সে কখনো প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেছে। আবার কখনো ব্যবহার করেছে কৃত্রিম উপাদান। তবে কৃত্রিম উপাদানের চেয়ে প্রাকৃতিক উপাদানই বেশি ভালো। কারণ এতে নেই কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, নেই কোনো বাড়তি খরচ। অনায়াসেই যা হাতের কাছে পাওয়া যায়, তা-ই আপনি আপনার রূপ চর্চায় কাজে লাগাতে পারেন। প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম- যেকোনো উপাদান দিয়েই রূপচর্চা করেন না কেন, আগে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে আপনার ত্বকের ধরন, চুল কোন ধরনের ইত্যাদি তথ্য। তবে পরিপূর্ণ রূপবতী কিংবা রূপবান বলতে কেবল শারীরিক সৌন্দর্যকেই বোঝায় না, এর সাথে থাকে বিশেষ কিছু গুণ। যেমন :
১. সুস্থ দেখানো
২. বয়সের তুলনায় কম বয়সী মনে হওয়া
৩.ব্যক্তিত্ব এবং শিষ্টাচার
৪. সাজ-পোশাক
৫. মার্জিত ভাব
৬. মানবিক গুণাবলি
৭. শিক্ষা
এ সব মিলিয়ে একজন মানুষকে সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে বিচার করা হয়।
পৃথিবীতে জন্ম থেকেই যদি কেউ সৌন্দর্যের অধিকারিণী হয়ে থাকে, তবে সেটা তাদের জন্যে করুণাময়েরই বিশেষ দান। কিন্তু বাকি সব গুণাবলি মানুষকে অর্জন করতে হয়। আর জন্মগত সৌন্দর্যও চিরস্থায়ী নয়, তাকে বেশি দিন ধরে রাখার জন্যে প্রয়োজন পরিচর্যার। তাই আজ যে এ সচেতনতা হয়েছে তা নয়। অতীতেও এ সচেতনতা ছিলো। আগের দিনের নারীরা ঘরে বসেই রূপচর্চা করতো। কালের প্রবাহে এর প্রসার ঘটেছে। এখন ঘরের বাইরেও এ জন্যে রয়েছে বহু প্রতিষ্ঠান, যা বিউটি পার্লার নামে পরিচিত। এখন মেয়েরা পার্লারে গিয়ে রূপচর্চা করে। আর যারা জন্মগতভাবে সৌন্দর্যের অধিকারিণী নন, তারাও হতাশ হবেন না, তারাও অনায়াসে সৌন্দর্য চর্চার মাধ্যমে নিজেকে পরিণত করে তুলতে পারেন রূপসী রমণীতে।
তবে একটা কথা বিশেষভাবে মনে রাখা প্রয়োজন যে, কোনো চর্চাই আলাদিনের চেরাগের মতো আপনাকে রাতারাতি বদলে দেবে না। এ জন্যে প্রয়োজন ধৈর্য। আর এটা ভাবাও ঠিক নয় যে, আপনি সারা জীবনই আপনার যৌবনকে ধরে রাখবেন, রূপকে ধরে রাখতে পারবেন। প্রকৃতির নিয়মেই ধাপে ধাপে বয়সের সাথে সাথে আপনাকে এগুতে হবে এক এক পর্যায়ের সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশে। তবে সৌন্দর্য চর্চা করলে আপনার বয়স যখন ৪০ তখন হয়ত আপনাকে দেখতে লাগবে ৩০ বছর বয়সী। এটাই বা কম কি। বয়সের তুলনায় ১০ বছর কম লাগা সহজ ব্যাপার নয়। অনেকে গায়ের রং নিয়ে ভাবেন- ফর্সা না হলে বুঝি সুন্দরী হওয়া যায় না; এটা আসলে ভুল ধারণা। সুন্দরী মানে যদি শুধু ফর্সাকেই বোঝানো হতো তাহলে প্রতিযোগিতায় আফ্রিকার কালো মেয়েটি বিশ্বসুন্দরী হতে পারতো না। কাজেই সুন্দরী মানেই রং ফর্সা হতে হবে- এ কথাটি সত্য নয়। রং যা-ই হোক না কেন, পরিচর্যার মাধ্যমে আপনি হয়ে উঠতে পারেন অপরূপ সুন্দরী।
সর্বোপরি মনে রাখতে হবে সৌন্দর্য চর্চা মানে শুধু মুখমন্ডলের চর্চা নয়, দেহের মাথা থেকে পা পর্যন্ত যত্ন নেয়া, পরিচর্যা করাই রূপচর্চার পূর্ণাঙ্গ রূপ। এর সঙ্গে রয়েছে ব্যায়াম, পরিমিত ও স্বাস্থ্যসম্মত আহার, সাজ-পোশাক, আপনার ব্যক্তিত্ব, শিষ্টাচার, মানবিক গুণাবলি, শিক্ষা, কথা বলার ভঙ্গি, হাঁটা-চলা-বসার ভঙ্গি ইত্যাদি। এসব মিলিয়েই একটি মানুষকে সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে বিচার করা হয়।

খবরটি সংগ্রহ করেনঃ- আই-নিউজ২৪.কম
এই খবরটি মোট ( 3755 ) বার পড়া হয়েছে।
add

Share This With Your Friends