রাজধানী

09-01-2018 03:25:35 PM

টানা জয় ভুলে টানা হারের স্বাদ পাচ্ছে পাকিস্তান

newsImg

পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ নিজের হতাশা গোপন করতে পারলেন না। বলেই ফেললেন, ‘খুব হতাশাজনক ব্যাটিং পারফরম্যান্স।’ নেলসনে আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানের স্কোরকার্ড দেখলে সরফরাজের প্রতি সমবেদনা জাগতেই পারে। ব্যাটিংয়ের জন্য রীতিমতো স্বর্গোদ্যানে শেষের দিকের দুই ব্যাটসম্যান শাদাব খান আর হাসান আলীর দুটি ফিফটিতে কোনোমতে ২৪৬ রানের পুঁজি দাঁড় করিয়ে ম্যাচটা ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ৮ উইকেটে হেরেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চ্যাম্পিয়নরা।

নেলসনের উইকেট কতটা ব্যাটিং-উপযোগী ছিল, সেটি বোঝা গেছে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসের কথায়। টসের সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন, ভাগ্য সহায় হলে তিনি বিনা দ্বিধায় প্রথমে ব্যাটিংটা বেছে নিতেন। এমন উইকেটে ২৪৭ রানের লক্ষ্যে ছোটা খুব কঠিন মনে হয়নি তাঁর দলের। যদিও প্রথমেই কলিন মানরো আর কাছাকাছি সময়ে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসকে হারিয়েছিল কিউইরা। কিন্তু জয় তুলে নিতে বেগ পেতে হয়নি একেবারেই।

নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ যখন ১৩ ওভারে ২ উইকেটে ৬২, তখনই বৃষ্টি এসে খেলা বন্ধ করে দেয়। দুই ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হলে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে কিউইদের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২৫ ওভারে ১৫১। উইকেটে যখন মার্টিন গাপটিল আর রস টেলর আছেন, তখন এই লক্ষ্য খুব কঠিন হওয়ার কথা নয়। হয়ওনি। গাপটিল ৭১ বলে ৫টি চার ও ৫ ছক্কায় ৮৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন। টেলরের ৪৫ রান এসেছে ৪৩ বল খেলে। পাকিস্তানের পক্ষে দুটি উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ আমির ও ফাহিম আশরাফ।

এর আগে ট্রেন্ট বোল্ট আর টিম সাউদি রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের সময়। এই দুই ফাস্ট বোলারের শর্ট বলে জর্জরিত পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারেননি। ফখর জামানের চোটের কারণে দলে সুযোগ পাওয়া ইনাম-আল-হক কিংবা অভিজ্ঞ আজহার আলী—শর্ট বলের সামনে তাঁরা ছিলেন রীতিমতো অসহায়।

সাউদির বলে এলবিডব্লু হন আজহার। বোল্টের বলে ইনাম ক্যাচ দেন মানরোকে। ব্যর্থ হয়েছেন বাবর আজম, শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদ। তবে লড়াই করেছেন মোহাম্মদ হাফিজ। ৭১ বলে ৬০ রান করে তিনি অন্তত মানসম্মান রক্ষা করেছেন দলের। তাঁর বিদায়ের পর বাকি ব্যাটসম্যানরা দলকে বেশি দূর টেনে নেবেন—এমন প্রত্যাশা ছিল না। ১২৭ রানে ৬ উইকেট নেই পাকিস্তানের।

কিন্তু হাসান আলী আর শাদাব খান রীতিমতো অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। ফিফটি করেছেন দুজনই। এর মধ্যে হাসানের ইনিংসটি ছিল রীতিমতো ঝোড়ো গতির। ৩১ বলে ৫১ করেছেন তিনি। সে তুলনায় শাদাবের ব্যাটিং ছিল ধীরস্থির। তাঁর ইনিংসটি ৬৮ বলে ৫২। এই দুই ‘বোলার’ই পাকিস্তানের সংগ্রহ টেনে নিয়ে যায় ২৪৬-এ। যে সংগ্রহে স্বপ্ন দেখার সাহস করেছিল পাকিস্তান; কিন্তু গাপটিল, টেলর আর বৃষ্টি সে স্বপ্ন সফল হতে দেয়নি।

টানা নয় ওয়ানডে জিতে নিউজিল্যান্ডে এসেছিল পাকিস্তান। জিতেছিল ১২ ওয়ানডের ১১টিতেই। সেই পাকিস্তান এবার টানা হারের স্বাদ পাচ্ছে। ৫ ম্যাচের সিরিজে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড এগিয়ে গেল ২-০-তে।