03-12-2016 11:37:59 AM

যমুনায় আটকা ৩৫ সারবাহী জাহাজ

newsImg

নাব্যতা সংকটের কারণে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি নৌবন্দরগামী ৩৫টি সারবাহী কার্গো-জাহাজ গত দুই সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীর পাটুরিয়া-দৌলদিয়া এলাকায় আটকা পড়েছে। ফলে আসন্ন সেচ মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার ১৪টি বাফার গুদামে আপদকালীন সার মজুদের কাজ চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। সময় মতো এ মজুদের কাজ সম্পন্ন করতে না পারলে সেচ মৌসুমে সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির আশংকা করছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। তবে আটকে পড়া জাহাজ থেকে ইজারাদাররা ছোট ছোট ডিঙ্গী নৌকা করে কিছু সার বন্দরে আনার চেষ্টা করলেও এতে খরচ বেড়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ। বিআইডাব্লিউটিএ নাব্য সংকট স্থানে ড্রেজিয়ের কাজ শুরু করলেও তা ধীরগতিতে চলতে থাকায় এ থেকে তেমন কোন সুবিধা আসছেনা বলে বাঘাবাড়ি বন্দর ইজারাদার। এদিকে যমুনা নদীতে নাব্যতা না থাকায় বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে সারবাহী জাহাজ তুলনামূলকভাবে কম আসার কারণে কাজ-কর্ম কমে যাওয়ায় বন্দরের প্রায় ২ হাজার শ্রমিক অনেকটা বেকার সময় কাটাচ্ছে। এতে তাদের উপার্জন কমে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে জীবনযাপন করছে। এ ব্যাপারে বাঘাবাড়ি নৌবন্দর কর্মকর্তা এস এম সাজ্জাদুর রহমান  বলেন, ড্রেজিং চলছে, অল্পদিনের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। আটকে পড়া জাহাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঘাবাড়ি বন্দরে চলে আসবে। বিসিআইসির বগুড়া আঞ্চলিক অফিসের লিয়াজো অফিসার শামীম আহমেদ   জানান, এ বছর উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার ইরি-বোর আবাদের জন্য বাফার ১৪টি গুদামে আগে থেকেই ২ লক্ষ ৮০ হাজার মেট্রিক টন সার মজুদ করা আছে। এরপরেও আরও ৯ লক্ষ মেট্রিক টন সার বিভিন্ন পথে আমদানি করা হচ্ছে। এর সিংহভাগ সার বাঘাবাড়ি নৌবন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়। এ নৌরুটে নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হওয়ায় আপদকালীন সার মজুদের কাজ কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে এ অবস্থা সাময়িক।বাঘাবাড়ি পোর্ট ইনচার্জ অব্দুস সালাম  আমার ৬টি জাহাজ মাঝ নদীতে আটকে পড়েছে। ৬ থেকে ৭শ টনের জাহাজগুলো বন্দরে আসতে পারলেও ১২শ থেকে ১৩শ টনের জাহাজ বন্দরে ভিড়তে পারছে না। বাঘাবাড়ি বন্দরে সারবাহী জাহাজ কম আসায় তারাও আর্থিক ভাবে চরম লোকসানে পড়েছেন। তিনি দ্রুত এ নৌরুটের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত ড্রেজিং কাজ শেষ করার দাবি জানান।