31-12-2017 10:31:25 AM
গত বৃহস্পতিবার দেশটির দ্বিতীয় জনবহুল শহর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় মাশহাদে প্রথমে বিক্ষোভ শুরু হয়, পরে বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে। উচ্চ দ্রব্যমূল্য নিয়ে ক্ষুব্ধ লোকজন মাশহাদের রাস্তায় নেমে এসে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে। তারা প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। বিক্ষোভ চলাকালে ‘অশ্রাব্য স্লোগান’ দেওয়ায় ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য শহরে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে রাজবন্দিদের মুক্তি ও পুলিশি নির্যাতন বন্ধেরও দাবি জানানো হয়েছে। প্রথম দিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হলেও পরে তা সরকারি নীতিবিরোধী ক্ষোভে রূপ নেয়। কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শুক্রবার ইরানের বড় শহরগুলোতে আন্দোলন বিস্তৃত হয়।
২০০৯ সালে বিতর্কিত নির্বাচনের পর হওয়া বিক্ষোভের পর এবারের বিক্ষোভকেই জনঅসন্তোষের সবচেয়ে গুরুতর ও ব্যাপক অভিব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করছেন পর্যবেক্ষকরা। শুধু প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিই নন, আন্দোলনকারীদের স্লোগানের তীর বিস্তৃত হয়েছে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এবং ইরানের শরিয়া আইনের বিরুদ্ধেও। বিক্ষোভ হয়েছে ধর্মীয় নেতাদের আবাসস্থল হিসেবে খ্যাত কোম শহরেও। বিক্ষোভকারীদের ‘জনগণ ভিক্ষা করছে, মোল্লারা ঈশ্বরের মতো আচরণ করছে’ জাতীয় স্লোগান দিতে দেখা গেছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।