22-04-2017 08:37:28 AM
নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান দাবি করেছেন, ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় যে ঘটনা ঘটে তার সঙ্গে হেফাজতে ইসলাম জড়িত ছিল না। বরং হেফাজতে ইসলামের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা ঢুকে ভাঙচুরসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে। আজ শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের ডিআইটি জামে মসজিদের সামনে আয়োজিত সমাবেশে শামীম ওসমান এ কথা বলেন। সমাবেশে শামীম ওসমান দাবি করেন, হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে তাঁর কোনো অমিল নেই। শামীম ওসমান বলেন, ’হেফাজত কিন্তু গণ্ডগোল করে নাই। বড় হুজুরকে আসতে দেওয়া হয় নাই। ওখানে জামায়াত যাইয়া ঢুইকা গেছিল। আমি সব জানি। ঘটনার পাশেই ছিলাম আমরা। সে কারণে মামলা খাইছে হেফাজতের লোকেরা। ঘটনা ঘটাইছে জামায়াতের লোকেরা। কারণ ওরা ইসলামে বিশ্বাস করে না, ওরা মওদুদিবাদে বিশ্বাস করে।’ শামীম ওসমান আরো বলেন, ’শামীম ওসমানের সঙ্গে হেফাজতের (ইসলামের) কোনো অমিল নেই। আমিও বলি অমিল নাই। আমি নিজেই বলি। রসুলের নামে কথা বললে আমার গায়ে লাগে। রসুলের নামে কথা বললে তারও গায়ে লাগে। বিসমিল্লাহ নিয়ে কথা বললে তারও গায়ে লাগে। বিসমিল্লাহ নিয়ে কথা বললে আমারও গায়ে লাগে। মিল তো থাকবেই।’ ২০১৩ সালে ’ইসলাম ও রাসুলকে কটূক্তিকারী ব্লগার’দের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে হেফাজতে ইসলাম। কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক ওই সংগঠনটির প্রধান দপ্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে। শাহ আহমদ শফী এ সংগঠনের নেতৃত্ব দেন, যাকে বড় হুজুর নামে সম্বোধন করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলাম সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ করে। পরে ঢাকার মতিঝিলে শাপলা চত্বরে সমাবেশ করে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পল্টন মোড় ও সিপিবি কার্যালয়ের সামনে অধিকাংশ বইয়ের ও অন্যান্য দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়। মতিঝিল, পুরানা পল্টন, জিরো পয়েন্ট, গুলিস্তান, দৈনিক বাংলার মোড়ে বহু প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ছাড়া হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন ও জনতা ব্যাংকে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া সড়কের আইল্যান্ডে থাকা গাছগুলো উপড়ে ফেলা হয়। রাতের দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের উচ্ছেদ করে। পরদিন অর্থাৎ ৬ মে নারায়ণগঞ্জে মিছিল ও জমায়েত করেন হেফাজতে ইসলামীর কর্মীরা।