বাংলাদেশ | শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪ | ১৫ চৈত্র,১৪৩০

জাতীয়

07-12-2016 04:26:49 PM

স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকার করায় পুলিশ কর্মকর্তাকে গণধোলাই

newsImg

ঠাকুরগাঁওয়ে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকার করায় পুলিশের এক এএসআইকে গণধোলাই দিয়েছে উৎসুক জনতা। বুধবার সকালে মাসুদা বেগম নামে এক পুলিশ পত্নী তার স্বামী এএসআই দবিয়ার রহমানকে প্রকাশ্যে কিলঘুষি ও চড়থাপ্পড় মারে।এ সময় ওই পুলিম কর্মকর্তাও স্ত্রীকে মারধর করলে উৎসুক জনতা ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে গণধোলাই দেয়। পরে আগত মাসুদাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল থানায় কর্মরত থাকাকালে এএসআই দবিয়ার রহমানের সঙ্গে মাসুদা বেগম নামে এক গৃহবধূর পরিচয় থেকে প্রণয় ঘটে। এক পর্যায়ে দবিয়ার রহমান ওই গৃহবধূকে ফুসলিয়ে ঢাকায় নিয়ে যায় এবং তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেশ কয়েকদিন অবৈধ মেলামেশা করে।  অবশেষে চলতি বছরের ৪ নভেম্বর মাসুদার চাপের মুখে দবিয়ার রহমান ঢাকার আশুলিয়া থানায় ২ লক্ষ টাকা মোহরানায় বিয়ে করে। পরবর্তীতে রাণীশংকৈলে ফিরে তাকে রামরাই দীঘির পাশে জনৈক চানমিয়ার ভাড়া বাসায় তুলে। সেখানে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বিভিন্ন সময়ে গিয়ে মাসুদার সঙ্গে স্বামী স্ত্রী হিসেবে মেলামেশা করলে তিনি ২ মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েন।  এরপর তাকে ভুল বুঝিয়ে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করলে স্বামী দবিয়ার সঙ্গে একই কোয়ার্টারে বসবাসের বায়না ধরেন মাসুদা। এতে ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে অস্বীকার করলে মাসুদা বেগম গত ২৭ নভেম্বর ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। রানীশংকৈল থানার ওসি রেজাউল করিম ওই অভিযোগ তদন্ত করছেন। এদিকে তদন্তে যেন কোনরুপ প্রভাব সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য ৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার এএসআই দবিয়ার রহমানকে রুহিয়া থানায় বদলী করা হয়।  এদিকে বদলির খবর জানতে পেরে মাসুদা বেগম বুধবার সকালে রুহিয়ায় এসে পুলিশ কর্মকর্তা দবিয়ার রহমানকে নির্জনে ডেকে নেয়। উভয়ে ১নং রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে আলাপকালে মাসুদা বেগম তার উপর চড়াও হয় এবং স্বামী পুলিশ কর্মকর্তাকে কিলঘুসি ও মারপিট করে। এতে পুলিশ কর্মকর্তাও পাল্টা মারধর শুরু করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে পুলিশ কর্মকর্তাকে গণপিটুনী দেয়।পরে খবর পেয়ে রুহিয়া থানার পুলিশ এএসআই দবিয়ার রহমানকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং মাসুদা বেগমকে স্থানীয় লোকজন ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।এ ব্যাপারে এএসআই দবিয়ার রহমানের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।  ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাসুদা জানান, এএসআই দবিয়ার রহমান ঢাকায় আমাকে বিয়ে করেছে। কিন্তু স্ত্রী মর্যাদা দিতে প্রায় অস্বীকার করেন। বদলীর খবর শুনে রুহিয়া আসলে তার সাথে আমার বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে সে আমাকে মারধর করে।রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহারিয়ার জানান, এএসআই দবিয়ার রহমানকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইন এ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

খবরটি সংগ্রহ করেনঃ- আই-নিউজ২৪.কম
এই খবরটি মোট ( 2735 ) বার পড়া হয়েছে।
add

Share This With Your Friends